সাসপেন্ড হলেন লাইভ করা সেই পুলিশ সদস্য
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে হেনস্থার প্রেক্ষিতে লাইভে নিজের অভিব্যক্তি করায় কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ সদস্য গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই পুলিশ সদস্য মূলত ইসলামি মূল্যবোধের তাগিদেই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন বলে তিনি লাইভে জানিয়েছিলেন।
তিনি তার লাইভে বলেছিলেন, ‘কাল মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। অধিকাংশ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন- সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি, আমার জানা নাই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। মিডিয়ার মাধ্যমে এমন একটা আলেম মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ধরনের হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এছাড়াও সাংবাদিকদের দালালি সম্পর্কে লাইভে এসে বলেন, বেতনভূক্ত সাংবাদিক না হয়েও কিভাবে তাদের দিন চলে? এছাড়াও সাংবাদিকরা “বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করে ও বিভিন্ন সময় মাল খান” বলেও ওঅবহিত করেন। একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে সাংবাদিকদের অপকর্ম নিয়ে তিনি ভাল করেই অবগত আছেন বলেও জানান।
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন বলেন, গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
জানা যায়, এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর। পার্বতীপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।