২০১৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়(ঢাবি)-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলো হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ,সরকারি তিতুমীর কলেজ,মিরপুর বাঙলা কলেজ,কবি নজরুল সরকারি কলেজ,বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে এবং উক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষাবিদদের পরামর্শের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো।
তবে শিক্ষার মান বৃদ্ধির চেয়ে ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই উক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা বহুগুণে বেড়ে চলেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার আন্দোলন করেছিল। সাময়িক সময়ের জন্য আশ্বাস পেলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে স্থায়ী কোনো সমাধান দিতে সক্ষম হয়নি ঢাবি প্রশাসন। তারই সূত্র ধরে আজ বুধবার (০৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফের আন্দোলনের ডাক দেয় সাত কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নতুন প্রতিনিধি দল। আন্দোলনে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে তাদের যৌক্তিক দাবি দাওয়া সমূহ উত্থাপন করেন। তাদের দেয়া দাবিগুলো হলো-
১. সকল সেশনকে পরবর্তী সেশনে ক্লাস করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. অনার্স ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা অতি দ্রুত নিতে হবে এবং ফল প্রকাশ করতে হবে।
৩. সকল বর্ষের ফলাফল ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
৪. ডিগ্রী ২০১২-১৩ বর্ষের চলমান বিশেষ পরীক্ষা অতি দ্রুত নিয়ে এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে।
৫. ২০১৭-১৮ ও ২০১১৮-৯ শিক্ষাবর্ষের ২.০০/২.২৫/২.৫০ পয়েন্টে পরবর্তী বর্ষে প্রমোটেডের নিয়ম বাতিল করতে হবে এবং তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোটেড করতে হবে।
৬. সকল ইমপ্রুভ পরীক্ষা অতি দ্রুত নিতে হবে এবং ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স সহ সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ সহ খাতা পুণঃমূল্যায়ন করতে হবে।
৭. প্রিলি মাস্টার্স ২০১৫-১৬ সেশনের ১ম পর্বের চলমান পরীক্ষা নিয়ে অতি দ্রুত ফল প্রকাশ করতে হবে। একই সেশনে একের অধিক সেশনের শিক্ষার্থী রাখা যাবে না।
আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রতিনিধি দলের মোস্তফা কামাল বলেন -“এর আগেও আমরা বহুবার সাত কলেজের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করেছি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে সমস্যা সমাধান করবে,কিন্তু সমস্যা সমাধান করেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি দাওয়া সমূহ লিখিত আকারে প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিবে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে এবং দফায় দফায় কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”