বিমানবন্দরে নামলেই পিকে হালদার অ্যারেস্ট: অ্যাটর্নি

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পিকে হালদার অ্যারেস্ট হবেন।

রোববার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের কাছে তিনি একথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দেশে আসার বিষয়ে পিকে হালদার মত পরিবর্তন করেছেন। কেন করেছেন, জানি না। তিনি যখনই আসেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। উনি অসুস্থ কিনা জানি না, তিনি আসলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা।’

এ এম আমিন উদ্দিন আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এয়ারপোর্টে নামার সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে। আদালতের নির্দেশও তাই। উনি জেলে গেলে সেখান থেকে পাওনাদারদের পরিশোধ করতে পারবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘একজন পলাতক ব্যক্তি, যা তিনি করেছেন, এটা নৈতিকতার মানদণ্ডে উন্নিত নয়। কারণ কোন পলাতক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করার আগে কোন আইনী সুবিধা পেতে পারেন না। তিনি মিথ্যা তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আদালতই ব্যবস্থা নেবেন।’
প্রায় ৩৬ শত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) আজ দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলনের মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদদ আইনজীবীকে জানান, অসুস্থজনিত কারণে আপাতত দেশে আসছেন না।’

এর আগে গত ২১ অক্টোবর প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) দেশে ফেরার অনুমতি দিয়ে বিমানবন্দর থেকেই আইনশৃঙখলা বাহিনীকে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দেশে ফিরে কারাগারে আইনের হেফাজতে থেকে যাতে পিকে হালদার পাওনাদারদের টাকা পরিশোধে সহযোগিতা করতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে পিকে হালদারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) দেশে ফিরতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে আদালতের কাছে নিরাপত্তা চান।

গত ২১ জানুয়ারি প্রায় ৩৬ শত কোটি টাকা পাচার করার ঘটনায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) উনিশ জনের সব সম্পদ, ব্যাংক হিসাব জব্দ ও পার্সপোর্ট আটকানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যরা হলেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুলইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নরুজ্জামান, আবুল হাসেম, রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুষ্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডে বিনিয়োগকারী দুই জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পি কে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে লোপাট করেছেন অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

If you like the post, share it and give others a chance to read it.

নগর২৪

nogor24 বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ব্লগসাইট। এই সাইটের লক্ষ্য হল বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজে বোধগম্য এবং সঠিক খবর এবং তথ্য প্রদান করা।