অস্থির পেঁয়াজ বাজার, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

পেঁয়াজের বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে চট্টগ্রাম, টেকনাফসহ সারা দেশের ৩৯ আমদানিকারক ও ৫০ কমিশন এজেন্ট। তাদের কারসাজির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে অভিযোগ।

ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ- এক সপ্তাহ আগে যেখানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার বেশি দামে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দাম বাড়ার কারণ সিন্ডিকেটরে কারসাজি। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তদার মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের যত আড়তদার আছে তাদের হাতে কিছু নেই।

যদি কিছু থেকে থাকে তবে তা বর্ডারে।চলতি অর্থবছরে চীন ও মিয়ানমার থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এক হাজার ৮২ মেট্রেকটন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসার অপেক্ষায় আছে ৪ হাজার ৬১০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। পর্যাপ্ত মজুদের পাশপাশি আমদানিও স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ স্টেশনের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জান বুলবুল বলেন, ‘আমদানির অনুমোতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার প্রক্রিয়া চলছে এবং পেঁয়াজ আনা অব্যাহত রয়েছে।

কাজেই বাজারে পেঁইয়াজের সর্বরাহের ঘাটতি হওয়ার কথা না’ পেঁয়াজের অবৈধ মজুদ বা কৃত্রিম সংকট কারা তৈরি করছেন এ ব্যাপারে কাজ চলছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘একটি সিন্টিকেট রয়েছে। আমদানিকারক ও আড়তদার মিলে আমরা কয়েকজনের নাম লিস্ট করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

আমদানিকারক ও আড়তদারদের গুদামে অভিযান চালিয়ে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সিন্ডিকেট আবারো মাথাচাড়া দিতে পারে বলেও ধারণা অনেকের।

If you like the post, share it and give others a chance to read it.

নগর২৪

nogor24 বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ব্লগসাইট। এই সাইটের লক্ষ্য হল বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজে বোধগম্য এবং সঠিক খবর এবং তথ্য প্রদান করা।