নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. আলী মাস্টার (৬৫) নামে আরও একব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে পৌঁছেছে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটটিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্তত আরও ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির। এদিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন। এদিকে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিনা ময়নাতদন্তের ২৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম সিদ্দিক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালে রাত পৌনে ৯টার দিকে মসজিদটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০ জন দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা জানায়, নামাজ চলাকালে মসজিদের ভেতরে থাকা এসি হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। এতে মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এসময় তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিলেন।
রবিবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারা হলেন, মসজিদটির ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), জোবায়ের (১৮), জুয়েল (৭), মাইনুদ্দিন (১২), জয়নাল (৩৮), মো.জামাল (৪০), সাব্বির (২১), হুমায়ূন কবির (৭০), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), মো. ইব্রাহিম (৪২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), রিফাত (১৮), রাসেল (৩৪) রাশেদ (৩০), নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), জুবায়ের (৭), বাহারউদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), জুলহাস (৩৫), শামীম (৪৫)।