নড়াইলের তিনটি উপজেলায় ৯৪ হাজার ২৫৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন।
আগামি ৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবার ১৫দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার অনিন্দিতা ঘোষ, ডাক্তার শফিক তমাল, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোল্যা ফোরকান আলী, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট হারাধন চন্দ্র মজুমদার, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুল, সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীরা।
নড়াইলের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন বলেন, ভিটামিন “এ” শুধু অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা দুর করে। শিশু মৃত্যুর হার কমায়। শিশু মৃত্যুরোধে জন্মের পর নবজাতককে শুধুমাত্র মায়ের শালদুধ পান করানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়া শিশুর বয়স ছয়মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। কর্মশালায় আরো জানানো হয়, ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট ৯৯২টি কেন্দ্রে এই দুই প্রকারের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।