মোঃবেলায়েত হোসেন নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ-
করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বাচ্চারা মোবাইল গেম খেলার প্রতি আসক্ত কোমলমতি শিশুরা এই গেম খেলার কারণে মানসিক রোগ আক্রান্ত হতে পারে তাই আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় কি করছে সেটার খোঁজখবর নিতে হবে এবং তাদেরকে শারীরিক-মানসিকভাবে বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ জাগাতে হবে, মোবাইল গেম খেলার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।মানসিক রোগও হতে পারে ।
- কিছু গবেষণায় দেখা গেছে,গেমিং ডিজঅর্ডারের সঙ্গে অতি উদ্বিগ্নতা, বিষণ্নতা এবং তীব্র মানসিক চাপের মতো মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডারের সঙ্গে গেমিং ডিজঅর্ডার হওয়ার প্রবণতা কখনো বেশি পাওয়াগেছে।
- সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া বা সাইবার জগতের অপরাধে জড়িয়ে আইনি ঝামেলায় পড়ে যেতে পারে।
- ইন্টারনেট বা গেমের বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে আচরণ পরিবর্তিত হয়ে যায়, আচরণে আগ্রাসী ভাব দেখা দেবে। অল্পতেই রেগে যাবে। কখনো নিজের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বা অপরকে আঘাত অথবা হত্যা করার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে।

প্রতিরোধের উপায়ঃ
- ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত না হলে, ইন্টারনেট সংযোগ বা ব্যক্তিগত মুঠোফোন নয়। সে নিজেকে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, তা আগে বিবেচনা করতে হবে।
- গ্যাজেট আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিলে তার একটি সময়সীমা বেঁধে দিন। সন্তানের সঙ্গে চুক্তিতে আসুন, যাতে নিয়মগুলো পালন করে। সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।
- বাসার ডেস্কটপ কম্পিউটারটি প্রকাশ্য স্থানে রাখুন। শিশু যাতে আপনার সামনে মুঠোফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার করে, সেদিকে গুরুত্ব দিন।
- নিরাপত্তামূলক অনেক সফটওয়্যার আছে। সেগুলো ব্যবহার করুন, যাতে আপনার বাসার সংযোগ থেকে কোনো নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা না যায়। এ বিষয়ে আপনার ইন্টারনেট সংযোগদাতা বা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।
- সন্তান প্রযুক্তিতে অতি দক্ষ এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পাবেন না। তার বয়সটি প্রযুক্তির উপযোগী হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।
- শিশুকে গুণগত সময় দিন। মা-বাবা নিজেরাও যদি প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত থাকেন, তবে সবার আগে নিজের আসক্তি দূর করুন। পরিবারের সবাই মিলে বাসায় ক্যারম, লুডু, দাবা, মনোপলি ইত্যাদি খেলার চর্চা করুন। নিয়ম করে সবাই মিলে বেড়াতে যান। মাঠের খেলার প্রতি উৎসাহ দিন।
- ইন্টারনেট বা গেম আসক্তি কিন্তু মাদকাসক্তির মতোই একটি সমস্যা। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে এই আসক্তি দূর করুন