শ্রমিকদের সাথে রাস্তা নিমার্ণে অংশ নিলেন হ্নীলার চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী

ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:


ছবির লোকটি দেখে অনেকের মনে হবে তিনি একজন শ্রমিক, বা সাধারণ পথচারী।  আসলে তিনি একজন জনবান্ধব চেয়ারম্যান, নিরহংকার, নির্ভিক, স্বপ্নবাজ, টগবগ কর্মযোদ্ধা।

পহেলা জুলাই ২০ বুধবার কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ফুলের ডেইল থেকে হ্নীলা প্রি ক্যাডেট স্কুলের পাশ দিয়ে প্রধান সড়ক সংযোগ সড়ক কাজের সার্বিক তদারকি ও শ্রমিকদেরকে সাহস যোগানোর লক্ষ্যে চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী নিজেই রাস্তা নিমার্ণ কাজে শ্রমিক বনে যান।

এ গ্রামে ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামে একটি মাত্র রাস্তা। বিকল্প রাস্তাটি নির্মাণ অতীব জরুরি ছিল। চরম কষ্ট করতে হয়েছে এ গ্রামের মানুষদের। যেহেতু একটি রাস্তাটা প্রধান সড়কের সাথে সংযুক্ত এ বিকল্প রাস্তাটি নির্মাণ না হলে আধা কিলোমিটার অতিবাহিত করে ছোট্টোমনিদের স্কুলে যেতে হতো।

ফুলের ডেইলের এ গ্রামের মানুষ বর্ষাকালে মাটির ছোট আইল বেয়ে চলাচল করা ছাড়া উপায় ছিল না। তা ছাড়া ফুলের ডেইলের গ্রামের মানুষরা বিকল্প রাস্তাটা নির্মান না হওয়ায় অনেক কষ্টের মধ্যে ছিল। অতীতের জনপ্রতিনিধিগণ রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে আসলেও সম্প্রতি সময়ে এ তরুণ চেয়ারম্যান ও রাস্তার জন্য জমিদাতা ডা.জামাল খুলুসহ জমিদানকারী সকলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর বহুদিনের কষ্ট লাঘব করেছেন।

এলাকার সচেতন মহল মন্তব্য করেন এটি আমাদের টেকনাফে একটি বিরল ইতিহাস। চেয়ারম্যানতো দূরের কথা কোন মেম্বারকেও শ্রমিকদের সাথে কুড়াল ধরতে দেখিনি। হ্নীলার মাঠ-ঘাটে, চায়ের দোকানের ছেড়া সংলাপে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে চেয়ারম্যান রাশেদ।

সকলের মুখে মুখে নতুন চেয়ারম্যানের জনবান্ধব ও তার কার্যপ্রণালীতে আমরা সত্যিই বিমোহিত।  চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী কোন প্রকল্পের কাজ ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে চান না। বরং নিজেই কাজের সার্বিক অগ্রগতি তদারকি করেন।শ্রমিকদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে তাদের সাথে নিজেকে শামিল করে শ্রমিকের ঘামে গন্ধে নিজেকে সিক্ত করেন। কোথাও ফোন কল পেলে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে ছুটে চলেন।
হ্নীলাবাসীর চাওয়া পাওয়াকে নিজের চাওয়া পাওয়াই পরিণত করেন।

তিনি বলেন , ইতিহাস রচনা করতে সবাই পারে কিন্তু ইতিহাসের পাতায় নিজেকে শামিল করতে সবাই পারে না। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজের শুরুতে ভিত্তি প্রস্তর করেন আর প্রকল্প শেষে উদ্বোধন করেন এমনটি আমরা দেখি। কিন্তু এর ব্যাতিক্রমটা আমরা সচরাচর দেখি না। তবে মিথ্যা পাগলা ঘোড়ার মত দাপিয়ে বেড়ায় আর সত্যটা মাছ শিকরের মত রূদ্ধ থাকে।

হ্নীলাবাসীর কাছে আমার আরজ সুন্দর আগামী গড়তে আপনাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতা কামনা করি। আপনার মূল্যবান রায়ে আমি প্রতিনিধি নির্ববাচিত হয়েছি। আমার এলাকার কোন অসহায় নিঃস্ব না খেয়ে থাকলে কাল কেয়ামতে মহান আল্লাহর আলীশান দরবারে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। গরীবের হক খেয়ে নিজেকে কলুষিত করতে চাই না। কোন অসংগতি হলে দেখিয়ে দিন শোধরাবো। সাধ্যনুযায়ী আপনাদের সেবক হয়ে কাজ করে যাব।

এমন রাজনীতি আমার বাবা শিখায়নি, দু’টাকা পকেটে ভরে একটাকা বিলিয়ে জনদরদীর কাতারে শিউরে উঠব।গণমানুষের ভালবাসা নিয়ে জিবনের বাকি সময়গুলো কাটাতে চাই। এমনভাবে হ্নীলাবাসীর খেদমত করতে চাই যেনো আগামী ১০০ বছর ইতিহাস স্মরণ করে। আসুন, আমরা একসাথে মিলেমিশে পরস্পর সহানুভুতি বিলিয়ে দলমত নির্বিশেষে জনকল্যাণে নিবেদিত হই।“

If you like the post, share it and give others a chance to read it.

নগর২৪

nogor24 বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ব্লগসাইট। এই সাইটের লক্ষ্য হল বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজে বোধগম্য এবং সঠিক খবর এবং তথ্য প্রদান করা।