সারোয়ার হোসেন, তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির মনোনীত হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আবু বাক্কার সিদ্দিককে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভোটে বিজয়ী করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
অথচ সেই দলের সাথে বেঈমানী করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলে দলটির নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন বইছে। এতে করে দল ও দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিকের এমন বেঈমানীর খবর ফাঁস হয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্যকর অবস্থা ও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
জানা গেছে, সম্প্রতি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের দাবির মুখে পড়ে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আবু বাক্কার সিদ্দিককে মনোনয়ন দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি।
এমনকি দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা দিনরাত খেয়ে না খেয়ে নিজের টাকা খরচ করে আবু বাক্কার সিদ্দিককে বিজয়ী করতে মাঠেঘাটে ভোট করেছেন। যার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী দুইজন প্রার্থীকে পিছনে ফেলে বিপুল পরিমাণ ভোটে বিজয়ী হন ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিক। কিন্তু আবু বাক্কার সিদ্দিক নির্বাচনে পাশ করার পরপরি বদলে যায় তার খোলস যোগদান করেন আওয়ামী লীগে।
এমনকি দলের সাথে নিমোক হারামি করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেই শুরু করেন ওয়ার্কাস পার্টির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবান্তর বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে শুনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য পান্না বলেন, জীবনে অনেক বেঈমান দেখেছি কিন্তু আবু বাক্কারের মত না। তা না হলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাকে নির্বাচিত করতে কি না পরিশ্রম করেছি।
কিন্তু সেই পরিশ্রমের ফল হিসেবে দলের সাথে বেঈমানী করে ফল দিল আবু বাক্কার সিদ্দিক বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, বেঈমানরা বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা তেমনি একদিন আবু বাক্কার সিদ্দিকও আর কোনদিন জনপ্রতিনিধি হতে পারবেনা বলে তিনি জানান। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।